উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চান এমপি দুর্জয়

কামরুল হাসান খান:

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় মানিকগঞ্জ পশ্চিমাঞ্চলকে আধুনিক শহর ও শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চান মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার আদলেই উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।একারনেই তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে আখ্যায়িত। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই পুনরায় মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়নপত্র কিনলেন বিসিবি’র পরিচালক ও বিশ্ব বরেন্য সাবেক এই ক্রিকেটার। এ অঞ্চলের আধুনিকায়নে নেয়া হয়েছে বহত্তর একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে পদ্মার তীরবর্তী পাটুরিয়ায় শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পাটুরিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, ঢাকা-আরিচা রেললাইন প্রকল্প,হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটকে আধুনিকায়ন, সৌন্দর্য বর্ধনে আরিচায় পর্যটন অঞ্চল, হাইটিক পার্ক,উন্নয়নশীল দেশের অংশ হিসেবে বিশেষ অর্থনেতিক অঞ্চলসহ আরিচার আলোকদিয়ার চরে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার। এছাড়া, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অংশ হিসেবে দূর্গম চরাঞ্চলে সোলার প্লান্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত চুরান্ত করেছে সরকার। অপর দিকে, শিবালয় এবং দৌলতপুরে ভাঙ্গনরোধে নদী শাসন প্রকল্প, ঘিওরে জেলা পরিষদ টাওয়ার নির্মান, যুব উন্নয়ন কমপ্লেক্স নির্মান, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান,ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মান,মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান প্রকল্প, শিক্ষার মানোন্নয়নে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারীকরন ও শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মান ও স্থাপন,বরংগাইল-টাঙ্গাইল মহাসড়ক,বানিয়াজুরী-ঘিওর আঞ্চলিক মহাসড়ক চঙ্গশিমুলিয়া-ঘিওর সংযোগ সড়ক সংস্কার,মহাদেবপুর-ঝিটকা- সড়ক, ঘিওর-টেপড়া সড়ক,মাইলাগী – ধূলন্ডী সড়ক,মাইলাগী-কালাচাদপুর সড়কসহ শতাধিক কি.মি নতুন রাস্তা পাকাকরন প্রকল্প বাস্তবায়ন, ঘিওরে কালীগঙ্গা ও ইছামতি নদীতে শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক নির্মান, জিয়নপুর- ঘিওর সড়কের খলসী ও কুস্তায় বাইপাস সড়ক নির্মান, বাস্তুহারা ও নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারকে পুনর্বাসন করতে শিবালয় ও দৌলতপুরের চরাঞ্চলে ৩টি আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মান, চরাঞ্চলকে অাধুনিকায়নে একাধিক হাট-বাজারের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল স্থাপন ছাড়াও এ নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাল্টে যাবে এলাকার জীবন যাত্রার মান। বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকার ব্যাপক সম্ভাবনাময় দেশের বৃহত্তর এ বন্দর নগরী এলাকার উন্নয়নসহ রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নেয়া হয়নি তেমন কোন পদক্ষেপ।তাই বর্তমান সরকার এমন উন্নয়নমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করায় আশায় বুক বেধেছে এ অঞ্চলের মানুষ। জাতির জনকের সময়কার সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ সায়েদুর রহমান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নীনা রহমানের পুত্র দুর্জয়- জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত স্নেহেষ্পদ ও আস্থাভাজন হওয়ায় এবং জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ অঞ্চলে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চল হবে দেশের গুরুত্বপুর্ন, উন্নয়নশীল ও উন্নত আধুনিক শহর। এব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক বলেন, বিগত সময়ে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক ছিল। কর্মজীবী,শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ীসহ নানাবিধ পেশার মানুষের জেলা সদরে যেতে প্রায় ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগতো। এখন ১ ঘন্টাই গন্তব্যে পৌছানো যায়।জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন এমপি দুর্জয়ের প্রচেষ্টায় এ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জনজীবন আরো সহজতর হবে। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে জননেতা এমপি দুর্জয়ের ভূমিকা চোখে পরার মত। তাই সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এ আসনে এমন জনহিতৈশী ব্যক্তিকেই পুনরায় মনোনীত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। বাঘুটিয়া গ্রামের এক ক্ষুদে ব্যবসায়ী জসীম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার এমন উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের কারনেই আমরা চরের মানুষ আর নিজেকে অসহায় মনে করি না। দিনে শহরে যাই ব্যবসায়ীক কাজে- কাজ শেষ করে অল্প সময়ের মধ্যেই নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারি। স্বাধীনতার পর আইনের এমন সুশাসন আর কারো আমলেই ছিল না,যা এই সরকার আমাগো দিছে। এমপি দুর্জয়ের কারনেই আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারছি। সে খুবই সরল মনের মানুষ।হাসিনা মা তাকেই আবার এমপি বানাইবো এইটাই আমাগো তার কাছে আবদ্বার। আলোকদিয়ার চর গ্রামের রামেলা বেগম বলেন, শেখ হাসিনার জন্যেই এখনো বাইচা আছি। আমার পোলার বউয়ের বাচ্চা অওয়ার কথা শুইনা। দুর্জয় এমপি একটা কার্ড দিছে। বউয়ের নাকি এডা মা অওয়ার জন্যে হাসিনা মা ট্যাকা দিছে। গরীব মানুষ আমার শুয়ামী নাই। তাই মাসে মাসে আমারেও ট্যাকা দেয়। আমার ভাসুর কেউ বুইরা মানুষের ভাতার ট্যাকা দেয়। ইনা মন্ডলের এর একটা ল্যাংরা মাইয়া আছে তারেও আমাগো মত ট্যাকা দেয়! আমাগো এলাকায় এখন আর চুর ডাহাইত আসে না। যে আমাগো মায়ের মত দ্যাখে আল্লায় তারে ভালভাবে বাচাইয়া রাখুক। আর আমরা অনেক এমপি দেখছি দুর্জয় বাবার মত এতো ভাল মানুষ দেখি নাই।তার কাছে যেকোন কতা কইবার চাইলে হুনে আবার একটা কুলও কইরা দেয়। এমন এমপিই আমাগো আবারো দিবো হাসিনা মা। আশুতোষ বাজবংশী নামের ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধা জানান, সরকার ইলিশ মাছের শিকার বন্ধ রাখার সময় আমাগো কাজকর্ম থাকেনা বিধায় সব জেলে পরিবারকে খাবার চাউল দেয়। এমন সরকারই ভাল। নদীতে চলাচলে এখন আর কোন বাধা বিপত্তি নেই। এলাকায় এখন শান্তি বিরাজ করছে। আবার এমপি বাবাজিও সরল মনের মানুষ। যেকোন বিষয়ে কথা বলতে চাইলে উনি সহজেই সবার সাথে কথা বলে। উনার কোন হিংসা নাই। ভগবান তার মঙ্গল করবে। এমন এমপি থাকলে খোলা আকাশের নিচেও নিরাপদে থাকা যায়। শেকের বেটির কাছে আমাগো চাওয়াই দুর্জয় বাবাজিকে আবার নৌকা দিয়ে পাঠাক ভগবান সহায় থাকলে-আমরা সবাই তাকে বিজয়ী করবো। ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলীম মিন্টু বলেন, বিগত সময়ে এলাকার যোগাযোগ অবস্থা তেমন একটা ভাল না থাকায় চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। রাস্তায় এখন আর তেমন সমস্যা নেই বললেই চলে। এমপি দুর্জয়ের কারনে প্রধানমন্ত্রী এলাকার অনেক উন্নতি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে মানুষের সারা জীবনের চাওয়া পুরন হবে। এমপি দুর্জয়ের কারনে আ’লীগ যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন আগের তুলনায় আরো সক্রিয় ও শক্তিশালী।যা আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এআসনে দুর্জয় এমপি’র বিকল্প নেই বলে আমি মনে করি।আমার বিশ্বাস জননেত্রী শেখ হাসিনা এমন সংগঠনপ্রিয় ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেবেন। শিবালয় উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মো:আব্দুল কুদ্দুস জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের উন্নয়নের বিষয়ে যেসকল প্রকল্প হাতে নিয়েছেন,তা বাস্তবায়িত হলে ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় রুপায়িত হবে উন্নয়নের শহরে । জীবন যাত্রার মান হবে অনেকটাই চোখে পড়ার মত। এমপি দুর্জয়ের কারনে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন বাস্তবায়নসহ মানুষ ফিরে পেয়েছে আত্ম-বিশ্বাস ও সাংগঠনিক একজন জনপ্রিয় গনমানুষের নেতা।তার হাতেই এ আসনটি সবচাইতে নিরাপদ বলে আমি মনে করি। তার আচরন ও উন্নয়নমূখী পদক্ষেপ প্রশংসার দাবীদার। আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা-এ আসনে তাকেই পুনরায় মনোনয়ন দেবেন বলে আমার বিশ্বাস। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহী উদ্দীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানিকগঞ্জ পশ্চিমাঞ্চলের বন্দর নগরী এলাকাসহ ওই তিনটি উপজেলায় যে সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন তা ওই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। ইহা বাস্তবায়িত হলে মানিকগঞ্জেই হবে দেশের দ্বিতীয় রাজধানী ও উন্নত শহর। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মানিকগঞ্জ পশ্চিমাঞ্চলের বন্দর নগরী এলাকাসহ ওই তিনটি উপজেলায় যে সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন তা ওই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল। ইহা বাস্তবায়িত হলে মানিকগঞ্জেই হবে দেশের দ্বিতীয় রাজধানী ও উন্নত শহর। মানুষ সন্তুষ্টচিত্তে বলতে পারি জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুর্জয়ের ভূমিকা মনে রাখার মত। বর্তমান সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানাই এমন কোমলমতি, ধৈর্যশীল ও দক্ষ ব্যক্তিকে এ আসনে প্রতিনিধি হিসেবে সনাক্ত করায়। এ ব্যাপারে সাবেক ক্রিকেটার, বিসিবি’র পরিচালক, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জননেত্রী এ অঞ্চলের পাটুরিয়ায় শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সৌন্দর্য বর্ধনে আরিচায় পর্যটন অঞ্চল, শিবালয়ে হাইটিক-পার্ক,,উন্নয়নশীল দেশের অংশ হিসেবে বিশেষ অর্থনেতিক অঞ্চলসহ আরিচার আলোকদিয়া চরে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার। এমন পদক্ষেপ জনমনে আশার সঞ্জার ঘটিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এলাকার জীবন যাত্রার মানোন্নয়নসহ এলাকার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন,এমন পদক্ষেপ দলীয় কাঠামোকে আরো মজবুত করতে সহায়ক হবে। একারনেই মানিকগঞ্জ আওয়ামীলীগের শক্ত একটি ঘাটি হিসেবে অাখ্যায়িত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব জননেত্রী শেখ হাসিনার কারনেই হয়েছে। আমি মনে করি তিনি জাতির জনকের কন্যা বিধায় দেশের উন্নয়নে এমন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। উন্নয়নমুলক এমন পদক্ষেপ গ্রহন করায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ আসনে আমি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছি কিনা তা জননেত্রী শেখ হাসিনাই ভাল জানেন। সিদ্ধান্ত গ্রহনে তিনি সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয়।এ আসনের ভাল-মন্দ তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি বলেন,জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে জেলার সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হবো বলে আমি আশাবাদী এবং এলাকার অসমাপ্ত কাজগুলি বাস্তবায়নসহ এ অঞ্চলকে অাধুনিক ও উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment